-
Posted by
Hasina Akhtar Nigar January 4, 2019 -
Filed in
Other
-
#Personallity
-
1,560 views
শুধু ফ্যাশন নয় নিজের স্টাইলে ফুটে উঠে ব্যক্তিত্ব।
হাসিনা আকতার নিগার
লেখক- কলামিস্ট
আপন রূপে নিজেকে নিঁখুতভাবে উপস্থাপন করতে চায় সব মানুষ। আধুনিক কালে নিজের প্রতি সচেতনতা বোধটা অনেক বেশী। বিশেষ করে কর্পোরেট জগতে নিজেকে যত বেশি সাবলীল করে প্রকাশ করা যায় ততই এগিয়ে নেয়া যায় সামনের দিকে। মেধা প্রজ্ঞা আর দক্ষতার সাথে বেশ ভূষনের নান্দনিকতা বোনাস পয়েন্ট।
একজন মানুষকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে তার নিজের কাছে ফ্যাশন আর স্টাইলের ধারণাটা পরিস্কার হতে হবে। ফ্যাশন নানাভাবে পরিবর্তন হয়ে আসে বেশ ভূষনে। কিন্তু সব ফ্যাশনেই যে সবার জন্য মানানসই হবে তা কিন্তু নয়। তবে আধুনিকতার ছোঁয়াতে নতুন ট্রেন্ডে নিজেকে মানিয়ে তোলাটা হলো স্টাইল । আর স্টাইলটা হলো আপন ব্যক্তিত্বের জীয়ন কাঠি।
অন্য ভাবে বলা যায় নিজের ব্যক্তিত্বের সাথে মানিয়ে ফ্যশানকে ক্যারি করা হলো স্টাইল। একই সাথে বলা যায়, যে ফ্যাশন বা সাজগুজে নিজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ কিংবা আরামদায়ক অনুভব না করে তবে তা যে কোন পরিবেশে বেমানান অবস্থার সৃষ্টি করে।
বিশেষ করে পুরুষদের তুলনায় নারীদের ফ্যাশন অনেক বেশি বৈচিত্র্যতা থাকে সব সময়ে। আর সে বৈচিত্র্যতাতে একজন নারী স্থান কাল বুঝে ফ্যাশনকে ক্যারি করতে পারাটাই হলো তার রুচিশীলতার পরিচয়। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে যেমন দেখা যায় তারকারা তাদের কিছু নিজস্ব ষ্টাইলে নজর কাড়ে তেমনি দেখা যায় আজকাল অন্যান্য মিডিয়া সহ কর্পোরেট জগতে ।
একজন কর্মজীবী নারী তার কাজের জগত সহ সামাজিক পারিবারিক পরিবেশে তার চলন বলনে যে ঘরানাতে নিজেকে সুন্দর ও সাবলীলভাবে উপস্থাপন করবে সে ষ্টাইলটাই হতে হবে একান্তভাবে তার। তাহলেই সে অন্যদের কাছে তার জন্য সম্মান ও ভালোবাসার স্থান তৈরি করবে নিঃসন্দেহে ভাবে।
দেখা যায় হুজুগে পড়ে অনেকে হাল ফ্যাশনে নিজেকে সাজাতে গিয়ে দেখতে ভালো বা খারাপ লাগাটা কে কেয়ার করে না। ভাবে চলতি ফ্যাশনে চলতে না পারলে সে মনে হয় ব্যাকডেটে হয়ে যাবে। আসলে বিষয়টি কিন্তু তা নয়। নিজের শারীরিক অবয়বের সাথে মানানসই পরিধানই নিজের ফ্যাশন এবং স্টাইল। ফ্যাশন আর স্টাইলের সমন্বিত উপস্থাপনে নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশটাই হলো মার্জিত রূপ।
বাহারি দামী পোশাকের কাছে কখনও কখনও হার মেনে যায় টাংগাইলের শাড়ি আর খোঁপার বেলী ফুলের বাংগালী নারীর সাজ। আর এর পেছনের রহস্যটাকে অনুধাবন করলে দেখা যায় সাধারণ বাংগালী সাজের নারীটি নিজের স্টাইলটি সে তৈরি করেছে নিজস্ব মানসিকতা দিয়ে। যা তার আপন ব্যক্তিত্ব এর বহিঃপ্রকাশ । সুতরাং স্বীয় স্টাইলে ফ্যাশনকে বহুমাত্রিকভাবে ব্যবহার করতে হবে নিজের ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে। আর সেখানেই সার্থকতা পাবে ফ্যশানেবেল স্টাইলিশ শব্দগুলো।