women life.and security


  • মেয়ে মানেই কি নিরাপত্তাহীন জীবন?

    হাসিনা আকতার নিগার

    এক সময় প্রথম সন্তান পৃথিবীতে আসার আগে এক ধরনের অস্থিরতা কাজ করত মা বাবার মধ্যে । কারণ পরিবারে অত্যন্ত প্রথম সন্তান ছেলে হোক এ আশাটা সবাই করত। কারণ ছেলে বংশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তার পরিচয়ে নাম যশ হবে পরিবারের। আর মেয়ে তো পরের আমানত। বিয়ে হলে চলবে যাবে অন্যের সংসার।

    রমা সন্তান সম্ভাবা। তবে তাদের ঘরে ছেলে মেয়ে নিয়ে কুসংস্কার নেই। শুধু।সুস্থ বাচ্চা চায়। তবে আজকাল চারদিকে মেয়েদের উপর যে হারে নির্যাতন চলছে তা দেখে রমা চিন্তা করে। ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপত্তা নেই মেয়েদের। বয়স স্থান কাল সব কিছুকে তুচ্ছজ্ঞান করে মেয়েদের জীবনকে নরকময় করছে।

    অথচ এখন মেয়েরা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে। তারা নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তাহলে কেন মেয়ে মানেই নিরাপত্তাহীনতার জীবন?

    নারী জীবনের নিশ্চয়তার জন্য আইন যত শক্তিশালী হোক, ব্যক্তি সমাজের পরিবর্তনটা দরকার সবার আগে। ধর্ষনের সাজা কঠিন যেনেও প্রতিনিয়ত নারী ধর্ষিত হচ্ছে।

    এর অন্তরালে কারণ মানুষের নৈতিক অবক্ষয়। ব্যক্তি দৃষ্টিতে কু - রিপুকে সংযত করার চর্চা কমছে। বলা হয় আধুনিক প্রযুক্তি মানুষকে নষ্ট করছে। বিষয়টা অত্যন্ত যুক্তিহীন। ভালো মন্দ বুঝার বিবেক বোধ যার থাকে সে পারে না ব্যভিচার করতে।

    নারী পুরুষ উভয়ের শালীনতা বোধটা থাকা খুব জরুরি। শারীরিক চাহিদা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।কিন্ত সে চাহিদা মেটানোর জন্য ধর্ষনের মত বর্বরোচিত কাজ বনের পশুকে হার মানায়।

    একসময় মানুষ মেয়ে সন্তান চাইত না কুসংস্কার থেকে। আর এখন সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় মেয়ে সন্তান মানে পরিবারের জন্য সার্বক্ষণিক চিন্তা। মেধা মননে এগিয়ে যাও নারীকে এখনো ভোগ্যপণ্য হিসাবে একটি দেহ হিসাবে চিন্তা করার মানসিকতা কি বদলাবে না এ সমাজে।

    কথাগুলো রমার চোখে জল এনে দেয়। আর শুধু প্রার্থনা করে তার ঘরে যদি মেয়ে আসে তাকে যেন একটা সুস্থ সমাজের মাঝে বড় করতে পারে। রমার জানে তার এ চাওয়াটুকু এখন সব কন্যার পরিবারের।