ইসলামে নারীর অধিকার

  • ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। আল্লাহ নারী ও পুরুষ কে সৃষ্টি করেছেন।ইসলাম যেভাবে নারীকে সম্মান দেয় অন্য কোন ধর্ম সেভাবে নারীকে সম্মান দেয় না। ইসলামে নারী হচ্ছেন হীরার চেয়েও দামি যাকে পর্দা করার মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়। ইসলাম নারীকে মা,স্ত্রী,কন্যা,বোন হিসেবে আলাদা আলাদা মর্যাদা দিয়েছে।ইসলাম নারীদের সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা দিয়েছে মা হিসেবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত’। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার এক লোক মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দরবারে এসে জিজ্ঞেস করলেন, আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার বেশি অধিকারী কে? নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমার মা’। ওই লোক জিজ্ঞেস করলেন, তারপর কে? তিনি উত্তর দিলেন ‘তোমার মা’। ওই লোক আবারও জিজ্ঞেস করলেন, তারপর কে? এবারও তিনি একই উত্তর দিলে। বোন হিসেবে নারীর সম্মানও ইসলাম বেশি দিয়েছে।
    মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কারও যদি কন্যাসন্তান ও পুত্রসন্তান থাকে আর তিনি যদি সন্তানদের জন্য কোনো কিছু নিয়ে আসেন, তবে প্রথমে তা মেয়ের হাতে দেবেন এবং মেয়ে বেছে নিয়ে তারপর তার ভাইকে দেবে।’ হাদিস শরিফে আছে, বোনকে সেবাযত্ন করলে আল্লাহ প্রাচুর্য দান করেন।
    স্ত্রী হিসেবে নারীর সম্মান ইসলামের চেয়ে বেশি অন্য কোন ধর্ম দেয় নি।
    ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে রয়েছে, ‘তারা তোমাদের আবরণস্বরূপ আর তোমরা তাদের আবরণ।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৭)। স্ত্রীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘উত্তম স্ত্রী সৌভাগ্যের পরিচায়ক।’ (মুসলিম শরিফ)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে–ই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।’ (তিরমিজি)। এভাবেই ইসলাম নারীকে সর্বোচ্চ আসন দিয়েছে। ইসলাম নারীর অধিকার হরণ করে নি বরং নারীকে আরো বেশি সম্মান দিয়েছে।

Comments

1 comment