প্রিয়ার ভালোবাসা-২

  • ‌তানভীর আর প্রিয়া আর বেশি দিন এভাবে মনের প্রশ্ন গুলোকে নিজেদের মনের মধ্যে রাখতে পারলো না। একদিন স্কুলে টিফিন টাইমে তানভীর প্রিয়াকে বললো ছুটির পর পুকুর পাড়ে দেখা করার জন্য। প্রিয়া তো টিফিন টাইমের পরের দুটি ক্লাসে আর মনোযোগ দিতে পারলো না, কৌতুহল হয়ে আছে তানভীরের কথা শুনার জন্য। স্কুল ছুটির পর প্রিয়া পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখলো তানভীর দাঁড়িয়ে আছে। প্রিয়াকে দেখে তানভীর জিজ্ঞেস করলো প্রিয়া তুমি কি ভালোবাসার অনুভুতি বুঝো? প্রিয়া উত্তর দিলো আমি জানি না ভালোবাসার অনুভুতি কেমন হয়। তখন তানভীর প্রিয়ার প্রতি তার অনভুতি গুলো বললো। প্রিয়া তো তানভীরের অনুভুতি গুলো শুনে আশ্চর্য হয়ে গেলো।কারণ এগুলো যে প্রিয়ার ও অনুভুতি হয় তানভীরের জন্য। মনের কথা প্রকাশ করে তানভীর প্রিয়া কে বললো প্রিয়া, "আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি",তুমি কি পারবে আমাকে আগলে রাখতে তুমার ভালোবাসা দিয়ে? প্রিয়া কুনো উত্তর দিলো না।চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো।তানভীর তখন বললো প্রিয়া তুমি যদি আমাকে ভালোবাসো কালকে সকাল ১০ টায় নীল শাড়ী পরে আমার সাথে এই পুকুর পাড়ে দেখা করবে আমি তুমার অপেক্ষায় থাকবো।বাসায় যাওয়ার পর প্রিয়া তো খুশিতে আত্মহারা।মনে মনে চিন্তা করলো যে কালকে সুন্দর করে চোখে কাজল দিয়ে নীল রঙের শাড়ী পরে তানভীর এর সাথে দেখা করবে। সকালে ১০ টায় প্রিয়া স্কুলের অনুষ্টানে যাচ্ছে বলে মা কে বলে বাসা থেকে বের হলো। স্কুলের সামনে যেতেই রাস্তায় ভীড় দেখে প্রিয়া একজন পথচারীকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো এখানে এক্সিডেন্ট হয়েছে। একটি ছেলে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুত গতিতে একটি বাস পিছন থেকে এসে ছেলেটিকে ধাক্কা মারে।এ কথাটি শুনে প্রিয়ার মন টা মুচড়ে উঠে ছেলেটিকে দেখার জন্য। ভীড়ের সামনে গিয়ে দেখলো রাজিবের রক্তাক্ত নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে।প্রিয়ার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো।নিজেকে সে প্রশ্ন করে, এভাবেই কি হওয়ার ছিলো তার ভালোবাসার সাথে? কেন বিধাতা এতোটা নিষ্টুর হলেন? কেন তাকে এতো কষ্ট দিলেন তার মনের মানুষকে কেনই বা তার কাছে আসতে দিলেন না?

Comments

0 comments